শারীরিক শিক্ষার নীতি কয়টি:
শারীরিক শিক্ষার নীতি মোট ৫টি।
এগুলি হলো:
- স্বাস্থ্য নীতি:
শারীরিক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো স্বাস্থ্যের সুরক্ষা ও উন্নয়ন। এই নীতি অনুসারে, ব্যায়াম ও শারীরিক কার্যকলাপের মাধ্যমে শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানো হয় এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সমন্বয় সাধন করা হয়। - মানসিক বিকাশ নীতি:
শারীরিক শিক্ষা শুধুমাত্র শরীরের জন্য নয়, মনকেও সুস্থ রাখে। এটি ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, মানসিক চাপ কমানো এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। - শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা নীতি:
শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তি শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার গুণাবলী অর্জন করে। নিয়মিত অনুশীলন এবং শৃঙ্খলার মধ্যে থাকা শারীরিক ও মানসিক উন্নতির মূল ভিত্তি। - সামাজিক দক্ষতা নীতি:
শারীরিক শিক্ষার মাধ্যমে দলগত কার্যকলাপ এবং সহযোগিতার দক্ষতা বাড়ানো হয়। খেলাধুলা এবং অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি অন্যদের সাথে কাজ করার ক্ষমতা অর্জন করে এবং সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। - সার্বিক উন্নয়ন নীতি:
শারীরিক শিক্ষা শরীর, মন এবং সমাজ—এই তিনটি ক্ষেত্রেই সমান গুরুত্ব দেয়। এটি একটি ব্যক্তির সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে এবং তাকে সুষম ও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য প্রস্তুত করে।
এই নীতিগুলি অনুসরণের মাধ্যমে শারীরিক শিক্ষা ব্যক্তিকে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে উন্নত করতে সহায়তা করে।